ডেস্ক রিপোর্ট>> এইচএসসি প্রশ্নপত্র নির্ধারণে কমিটি করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন হবে। তদের উপস্থিতে লটারি হবে। এরপর কোন সেটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেয়া হবে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা বোর্ড ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান জিয়াউল হক জাগো নিউজকে বলেন, এইচএসসিতে দুইয়ের অধিক সেট প্রশ্নপত্র প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হবে। পরীক্ষার ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে প্রশ্নের সেট নির্ধারণ করা হবে। এ বিষয়ে কমিটি করা হবে। একাধিক বোর্ড চেয়ারম্যানদের সমন্বয়ে চার বা পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট হবে এ কমিটি। পরীক্ষার আগের দিন কমিটি গঠন হবে। কোন প্রশ্নে পরীক্ষা হবে তা পরদিন নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেয়া হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, কোনো কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র পৌঁছাতে দেরি হলে সেখানে দেরি করে পরীক্ষা শুরু হবে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার পর ২৫ মিনিট অপেক্ষা করে তারপর পরীক্ষা শুরু করতে হবে। সেখানে দেরি করে পরীক্ষা শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন থেকে দুই প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে। এরমধ্যে ভেতরের প্যাকেট থাকবে সিলগালা। বাইরের প্যকেট থাকবে বিশেষ সিকিউরিটি কোডের টেপ লাগানো (যা কেউ খুললে বুঝা যাবে)। এছাড়াও এসএসসির মত এইচএসসিতে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। যদি বিশেষ কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হয়, তবে রেজিস্ট্রার খাতায় তার সব তথ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হবে। একাধিক দিন এমন হলে তাকে আর প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এসব তথ্য কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট বোর্ডে পাঠানো হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, প্রশ্ন ফাঁস এবং নকলে সহায়তার দায়ে চিহ্নিত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হবে। সরকারি কলেজ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ নেয়া হবে বিভাগীয় প্রক্রিয়া (ডিপি)। আর বেসরকারি কলেজ শিক্ষকের এমপিও বাতিলসহ চাকরিচ্যুত করা হবে। চাকরিচ্যুতির জন্য সংশ্লিষ্ট কলেজ-মাদরাসার পরিচালনা কমিটিকে (জিবি) বলা হবে। তারা ব্যবস্থা না নিলে জিবি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এরপর সেই কমিটির মাধ্যমে চাকরিচ্যুতি নিশ্চিত করা হবে। প্রশ্নপত্র ট্রেজারি থেকে বের করার পর কেন্দ্রে পৌঁছানো পর্যন্ত সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন।
ঢাকা বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রের দূরত্ব অনুযায়ী ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও এবার প্রথম বারেরমত পরীক্ষাকালীন বিকাশ, রকেটসহ মোবাইল ব্যাংকিং কঠোর নজরদারিতে থাকবে। সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ করে নিকটস্থ থানায় অবহিত করতে হবে। নতুবা সংশ্লিষ্ট এজেন্টের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকবে নজরদারিতে।