ডেস্ক রিপোর্ট>> সারা দেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। যা গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি হার ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়ের সংখ্যা কম। ছেলেদের সংখ্যা ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন, এবং মেয়েদের সংখ্যা ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ জন।
বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এইচএসসি পরীক্ষার সার্বিক দিক তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
তিনি জানান, এবার পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করে সকল বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক প্রশ্নের সেট পৌঁছে দেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজ থেকে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলো। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়া না হওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি তদারকি করবেন।
এবার সাধারণ আট বোর্ডে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন। তার মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ৫ লাখ ৫২ হাজার ৬১২ জন এবং মেয়েদের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৫ জন।
অন্যদিকে, মাদরাসা বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১২৭ জন। যার মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১৩৫ জন। ছেলেদের সংখ্যা ৫৫ হাজার ৯৯২ জন। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষা মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন।
তথ্যমতে, এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমে গেছে। এবার মোট ২ হাজার ৫৪১ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় ৪৪টি কমেছে। এছাড়া বিদেশি ৭টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ২৯৯ জন।
প্রতি বছরের মতো এবারো প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলসহ কোনো ধরণের ডিভাইস সঙ্গে নিতে পারবে না। যদি কারো কাছে এ ধরণের ডিভাইস পাওয়া যায় তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে প্রশ্নে প্যাকেটে সিলগালাসহ সিকিউরিটি কোডের মাধ্যমে ডাবল প্যাকেটের মাধ্যমে কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ২ এপ্রিল শুরু হবে। চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। ১ এপ্রিল সরকারি ছুটি হওয়ায় একদিন পিছিয়ে পরীক্ষার রুটিন তৈরি করা হয়েছে।