ডেস্ক রিপোর্ট>> ছায়া শিক্ষা বা সহায়ক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে কোচিং সেন্টারের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে কোচিং মালিকদের এ সংগঠন কোচিংয়ে সেন্টার বন্ধ না করার দাবি তুলে বলেছে, বিদেশে ছায়া শিক্ষা হিসেবে এর স্বীকৃতি আছে। তারাও অনুরূপ স্বীকৃতি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ইমাদুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন উদ্ভাস কোচিং সেন্টারের উদ্যোক্তাদের একজন মাহমুদুল হাসান, সংগঠনের নেতা কামালউদ্দিন পাটোয়ারী, শমসে আরা খানম মাহফুজুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
ইমাদুল হক বলেন, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস রোধে ২৬ জানুয়ারি হতে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকার দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলেও প্রশ্নফাঁস রোধ করা সম্ভব হয়নি। প্রশ্ন প্রণয়ন, মুদ্রণ, বিতরণ ও পরীক্ষা গ্রহণের কোনো পর্যায়ে কোচিং সেন্টারগুলোর সম্পৃক্ততা নেই বিধায় প্রশ্ন ফাঁস রোধে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখা যুক্তিসঙ্গত না। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে যারা জড়িত তারা যেই হোক না কেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ৫২টি শুক্রবার, গ্রীষ্মের ছুটি, শীতের ছুটি, রমজান ও ঈদুল আযহা, দুর্গাপূজাসহ অন্যান্য ধর্মীয় বিশেষ দিনের ছুটি, জাতীয় দিবসসমূহের ছুটি এবং অন্যান্য সরকারি ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকে। এছাড়াও পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, পরীক্ষার সময়ও কোনো ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় না। সবমিলে ৩৬৫ দিনের মধ্যে গড়ে ১৯০-২০০ দিন পাঠদান কার্যক্রম থাকে না। অবশিষ্ট দিনগুলোর মধ্যে আবার কমপক্ষে ২টি মিডটার্ম, অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা চলে যাতে প্রায় ৪০-৫০ দিন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয় না। অর্থাৎ সারা বছরে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করার সুযোগ পায় ১১৫-১২৫ দিন। এসময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে সব বিষয়ের সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হয় না।
‘যারা আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে গৃহশিক্ষক রাখতে পারেন না, তারাও কোচিং সেন্টারের সাহায্য নেন। ফলে কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ হলে শিক্ষা ব্যয় বাড়বে, নিম্নবিত্ত শ্রেণি আবারও শিক্ষাবিমুখ হবে।’
কোচিং সেন্টার চালু থাকায় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মেধাবীদের থেকে শিক্ষার্থীরা অল্প খরচে শিক্ষা সহায়তা নিতে পারছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া যুক্তির মধ্যে কোচিংয়ের শিক্ষক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে এর কার্যক্রম, ইউনেস্কোর এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বিদেশমুখী জনবল ও শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়।