দৈনিক দৃষ্টান্ত রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘ডিজিটাল জালিয়াতির’ দায়ে ১২ ভর্তি পরীক্ষার্থীকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার সকালে পরীক্ষা চলাকালে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। সেখানে অভিযুক্তদের জবানবন্দির ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহি এ দণ্ড প্রদান করেন।
সাজাপ্রাপ্তদের শাহবাগ থানার পুলিশের হেফাজতে দেন ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাদেরকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানায়।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে দুজন নারী। অন্যরা হলেন- আল ইমরান, শাহ পরান, আবুল বাশার, নাহিদ হাসান, তানভীর হোসাইন, রফিকুল ইসলাম, খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম, এস এম জাকির হোসাইন, আবু হানিফ ও নূরে আলম। এদের মধ্যে নূরে আলম ছাড়া বাকি সবার কাছে এটিএম কার্ডের মতো একটি যন্ত্র পাওয়া গেছে। নূরে আলমের কাছে মুঠোফোন পাওয়া গেছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী বলেন, ‘এটিএম কার্ডের মত যন্ত্রটির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ করা যায়। তারা কানের মধ্যে একটি ছোট আকারের হেডফোন লাগিয়ে রেখেছিলেন এবং বাইরে থেকে কেউ প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছিল।’
প্রক্টর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, শেখ বোরহানউদ্দিন পোস্ট গ্র্যাজয়েট কলেজ, আহমেদ বাউয়ানি একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ধানমণ্ডি আইডিয়াল কলেজ থেকে দুজন করে এবং মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মোতাহার হোসেন ভবন থেকে একজন করে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় এক হাজার ৭৬৫টি আসনের বিপরীতে ৮৯ হাজার ৫০৬ জন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ ক্যাম্পাসের বাইরের মোট ৮৭টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয়।