ডেস্ক রিপোর্ট» রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফরম পূরণে প্রতারণার শিকার শিক্ষার্থীরা টাকা ফেরতসহ নতুন করে আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। দূর হয়েছে তাদের শঙ্কা এর মধ্য দিয়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর বিসিএস পরীক্ষায় বসতে বাধা রইল না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে আবেদনকারীদের টাকা ফেরত দেয়া শুরু হয়। শনিবারের মধ্যে সকল আবেদনকারীর টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগীদের একজন জুবায়ের আল মাহমুদ বলেন, সকাল থেকে অনেকের টাকা দেয়া হয়েছে। আমরা টাকা পেয়েছি। ভালো লাগছে প্রশাসন প্রতারণার শিকার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সামনেও এরকম সমস্যাগুলোতে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা পাব বলে আশা করি।
সুলতানা সুমি নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক দেয়া নির্দেশনা মতো পিএসসিতে আমাদের তথ্যগুলো পাঠিয়েছিলাম। যারা তথ্য পাঠিয়েছিল তারা পুনরায় আবেদন করার সুযোগ পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সহযোগিতা ভুলবার নয়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বলেন, আমরা সকাল থেকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের টাকা ফেরত দিচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শেষ হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার প্রতারণার দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পন্দন ও ভাই-ভাই কম্পিউটার দোকানের তিন জনকে আটক করে পুলিশে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অভিযুক্তরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের স্পন্দন কম্পিউটারের মালিক মোস্তাক আহমেদ মামুন এবং ভাই ভাই কম্পিউটারের আরিফ হোসেন ও রফিকুল ইসলাম।