১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং, ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


দুই শিশু শিক্ষার্থীকে বেঁধে ঝুলিয়ে পেটালেন শিক্ষক

ডেস্ক রিপোর্ট» পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় চরচাপলী হাফেজিয়া মাদরাসায় দুই শিশু শিক্ষার্থীকে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। নির্যাতনকারী শিক্ষার্থীরা হলো, ইসমাইল (১৩) ও হাসান (১২)। নির্যাতনকারী শিক্ষকের নাম আসাদুজ্জামান।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাদরাসার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীরা বর্তমানে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা গেছে, ওই মাদরাসার শিক্ষার্থী ইসমাইল ও হাসানকে রশি দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের ফলে দুই হাতের কব্জিতে কালো দাগ বসে গেছে। এমন নির্যাতনের পর তারা মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে গেছে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ইসমাইল জানায়, ২২ মার্চ প্রথমে রশি দিয়ে বেঁধে জোড়া লাঠি দিয়ে তাকে পিটিয়েছে হুজুর (আসাদুজ্জামান)। নির্যাতনের বর্ণনা দেবার সময় চোখ দিয়ে পানি ঝরছিল ইসমাইলের। সে জানায়, ভয়ে আমি মারধরের কথা কাউকে জানাইনি।

সে আরও জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে এবং আমার সহপাঠি হাসানকে ভবনের বাইরে হুজুর (আসাদুজ্জামান) মারধর করে। তাতেও মন না ভরায় মাদরাসার অপর শিক্ষার্থীদের দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে পিটিয়েছে আমাদের।

ইসমাইলের বাবা দিনমজুর আলমগীর হোসেন বলেন, ছেলে জন্ম নেবার পর থেকে স্বপ্ন দেখতাম মসজিদের ইমাম হবে। তাই মাদরাসায় ভর্তি করি। কিন্তু হুজুর আমার ছেলেকে মেরে কি করেছে দেখুন?

অভিযুক্ত শিক্ষকের (আসাদুজ্জামান) সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় চরচাপলী হাফেজিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাসুম বিল্লাহ বলেন, ঘটনার সময় মাদরাসায় ছিলাম না। ঘটনাটি ইসমাইলের বাবা আমাকে জানিয়েছে। ওই শিক্ষার্থীকে মাদরাসায় আসার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুষ্টামি করলে শাসন করা হয়। ছাত্র ভর্তির সময় স্ট্যাম্পে লিখিত দিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। সেই চুক্তিপত্রে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শাসনের অধিকার দিয়ে থাকেন।