৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


প্রধান শিক্ষক ১১তম, সহকারী শিক্ষকের বেতন ১৩তম গ্রেডে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের বিরাজমান বেতন বৈষম্য নিরসন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। ৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।

এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন) জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর ১১তম গ্রেডে (১২৫০০-৩০২৩০ টাকা) এবং সহকারী শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন) ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকরা বেতন বৈষম্য নিরসনে আন্দোলন করে আসছিলেন। এ দাবিতে আসন্ন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন তারা। পরে বেতন বৈষম্য নিরসনে গত ২৮ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বেতন বৈষম্য নিরসন করে ৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগের বাস্তবায়ন-১ অধিশাখা হতে এ সংক্রান্ত চিঠি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। অর্থ বিভাগের নতুন সিদ্ধান্তের পর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের বেতনের কোনো বৈষম্য থাকল না।

২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বেতন ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১) এবং প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১১৩০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) ছিল। অর্থ বিভাগ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন উভয় ক্ষেত্রেই প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা (গ্রেড-১১) নির্ধারণ করেছে।

অন্যদিকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ছিল ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪) এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল ছিল ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫)। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন সহকারী শিক্ষকের উভয় ক্ষেত্রেই বেতন স্কেল ১১০০০-২৬৫৯০ টাকায় (গ্রেড-১৩) উন্নীত করেছে অর্থ বিভাগ।