সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ৯ মার্চ ২০১৪ তারিখের পরবর্তী সময়ে টাইম স্কেল প্রদানের সুযোগ নেই বলে মতামত দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।
সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত মতামত দিয়ে একটি চিঠি গণশিক্ষা ও প্রাথমিক সচিবের কাছে পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ।
শিক্ষার মান উন্নয়নে টাইম স্কেল বাস্তবায়ন ও বেতন বাড়ানোসহ বেশ কিছু দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা।
এর প্রেক্ষিতে প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১১তম, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ১২তম এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম গ্রেড নির্ধারণের বিষয়ে মতামত দেয় অর্থ বিভাগ।
গত ৭ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠায়। চিঠিতে এখন থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন) জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ এর ১১তম গ্রেডে (১২৫০০-৩০২৩০ টাকা) এবং সহকারী শিক্ষক (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন) ১৩তম গ্রেডে (১১০০০-২৬৫৯০ টাকা) বেতন পাবেন বলে উল্লেখ করা হয়।
নতুন এ বেতন স্কেল প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দিন বলেন, ‘এটি এক ধরনের প্রহসন। আমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় আছি। অন্যথায় নতুনভাবে আন্দোলনে নামাবো।’
এরই মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের টাইম স্কেল প্রদান না করা সংক্রান্ত মতামত দিল অর্থ বিভাগ।