৬ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


প্রাথমিকের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ অর্থ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে

প্রাথমিক শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে অসহায় মানুষের সাহায্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

ইতিমধ্যে মাঠপর্যায় থেকে অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।

ডিপিইর মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ক্রান্তিকালে জাতি পাশে দাঁড়াচ্ছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শিক্ষক নেতা, কর্মচারীদের সংগঠন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আলোচনা করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ মানুষের সহায়তায় বৈশাখী ভাতার টাকার ২০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অনেকে বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশের বেশি দিতে চাচ্ছেন। তাদের ইচ্ছাও বিবেচনা করা হবে।

মহাপরিচালক জানান, চলতি বছর নববর্ষ বা বৈশাখী উৎসব পালন না করার নির্দেশনা এসেছে। তবে ইতিমধ্যেই অধিদফতরের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা বাবদ টাকা ছাড় হয়েছে। প্রাথমিকের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বৈশাখী ভাতা বাবদ ১২০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। তাই বৈশাখী ভাতার একটি অংশ করোনা মোকাবিলায় এবং কর্মহীন হয়ে পড়া দুস্থ মানুষের সহায়তায় দান করতে চাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা। তার ২০ শতাংশ হিসেবে ২৪ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দান করা সম্ভব হবে।

জানা গেছে, দেশের সব জেলা-উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, পিটিআই সুপার ইন্সট্রাক্টর ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর এবং শিক্ষকদের বৈশাখী ভাতার ২০ শতাংশ টাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শামছুদ্দিন মাসুদ ও বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অনলাইন সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বৈশাখী উৎসব ভাতার ২০ শতাংশ অর্থ কর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অসহায় মানুষদের মাঝে এ অর্থ বিতরণ করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে এক শিক্ষক নেতা বলেন, করোনা ভাইরাসের জন্য দেশে এক ধরনের দুর্যোগ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কায় সব কিছু বন্ধ ঘোষণা থাকায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষেরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। আমাদের বৈশাখী ভাতার অর্থ তাদের মাঝে বিতরণ করলে কিছুটা হলেও তারা স্বস্তি পাবেন। সরকারের এ সিদ্ধান্তে সব শিক্ষক সম্মতি দিয়েছে।