৩০শে মার্চ, ২০২৩ ইং, ১৬ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ


বাঁশের স্কুলটিই জিতল আন্তর্জাতিক পুরস্কার

ড্রাম, বাঁশ আর দড়ির আবরণ স্কুলজুড়ে। স্কুলটি এমন উভচর কাঠামোতে তৈরি, যা বছরের কয়েক মাস থাকে পানির নিচে। পানি নেমে গেলে স্কুলটি আবার দাঁড়িয়ে যায়। ধলেশ্বরীর তীরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ কানারচরের এই স্কুলটিই (আর্কেডিয়া এডুকেশন প্রকল্প) জিতে নিয়েছে আন্তর্জাতিক আগা খান পুরস্কার। এবার বিশ্বের সেরা ছয় স্থাপনাকে দেওয়া হয় এ পুরস্কার। রাশিয়ার আধাস্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাতারস্তানের রাজধানী কাজানে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে এ পুরস্কারের ঘোষণা আসে।

এবারের আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার ২০১৯-এ সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল ২০টি প্রকল্প। এর মধ্যে দুটি প্রকল্প ছিল বাংলাদেশের। আর্কেডিয়া এডুকেশন ছাড়াও গাজীপুরের আম্বার ডেনিম লুম শেড সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিল। পুরস্কার জেতা আর্কেডিয়া এডুকেশন প্রকল্পটির স্থপতি সাইফ উল হক।

বাংলাদেশ ছাড়া বাহরাইন, ফিলিস্তিন, রাশিয়া, সেনেগাল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রকল্প এ পুরস্কার জিতেছে। ১০ লাখ ডলার অর্থমূল্যের পুরস্কার ছয় বিজয়ীকে ভাগ করে দেওয়া হবে।

স্থাপত্য পুরস্কারের ক্ষেত্রে আগা খান অ্যাওয়ার্ড অন্যতম প্রাচীন ও সম্মানজনক পুরস্কার। ১৯৭৭ সাল থেকে এই পুরস্কারের প্রবর্তন শুরু হয়। প্রতি তিন বছর পর পর এই সম্মাননা দেওয়া হয়। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে সমকালীন নকশা, সামাজিক গৃহায়ণ, সামাজিক অগ্রগতি, উন্নয়নসহ অনেক দিক বিবেচনা করা হয়। স্থাপনা বা ব্যক্তির পাশাপাশি এটি প্রকল্প, সম্প্রদায় ও এর অংশীদারদেরও স্বীকৃতি দেয়।

এর আগে ২০১৬ সালে স্থাপত্যবিদ্যার এই পুরস্কার জিতেছিলেন দুই বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম ও কাশেফ মাহবুব চৌধুরী। স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের করা বায়তুর রউফ মসজিদের নকশায় রয়েছে সুলতানি স্থাপত্যের অনুপ্রেরণা। আর ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের নকশায় স্থপতি কাশেফ মাহবুব চৌধুরী এনেছেন মহাস্থানগড়ের আবহ।