দৈনিক দৃষ্টান্ত রিপোর্ট : ‘ব্লু হোয়েল গেম’ বাংলাদেশে কারো আত্মহত্যার কারণ হয়েছে কি না, তার তদন্ত করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। রাজধানীর এক স্কুলছাত্রীর বাবা তার মেয়ের আত্মহত্যার জন্য এ ইন্টারনেট গেমকে দায়ী করেছেন। সোমবার এ বিষয়ে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় রিপোর্ট দেখে এই নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
সোমবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। আমি আজ দুপুরে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দিয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। ওই ছাত্রী আলোচিত এই গেম খেলে আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়েছিলেন কি না এবং বাংলাদেশে থেকে এই গেম খেলা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে বিটিআরসিকে।
এদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশে ‘ব্লু হোয়েল গেম’ লিংক বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং এর ওপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। গতকাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ‘আমরা সব সময় খেয়াল করছি কতগুলো লিংক থেকে এগুলো করা হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিটিআরসির সঙ্গে কথা বলে সেগুলো ব্লক করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আমাদের আইসিটি ডিভিশনের যে বিডিসিআইআরটি আছে তারাও সতর্ক নজর রাখছে।’
ইন্টারনেটে প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঝুঁকি আসার বিষয়টি তুলে ধরে তা প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন পলক। ‘ব্লু হোয়েল’ বা ‘ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ’ একটি অনলাইন গেম, যা অংশগ্রহণকারীকে মৃত্যুর পথে নিয়ে যায়। নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে যেন আত্মহত্যার জন্যই- সেই ধারণা থেকে এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’। এই গেমে খেলোয়াড়দের সামনে চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিভিন্ন কাজ করতে দেওয়া হয়, শুরুতে হালকা কিছু কাজ দেওয়া হলেও ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর সব কাজ দেওয়া হয়। বিপজ্জনক সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পর সব শেষে চূড়ান্ত কাজ হিসেবে খেলোয়াড়কে আত্মহত্যা করতে বলা হয়।