৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ভিডিও কনফারেন্সে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক দৃষ্টান্ত ডেস্ক : বহুল প্রতীক্ষিত রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ সমন্বিত ফ্লাইওভার পুরোপুরি খুলে দেয়া হলো। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফ্লাইওভারটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

রাজধানীর মৌচাক মোড়ে প্যান্ডেল তৈরি করে ডিজিটাল বোর্ডের মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন দেখানো হয়েছে। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপারেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্যানেল মেয়র মো. ওসমান গণিসহ আওয়ামী লীগের নেতা ও দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

ফ্লাইওভারের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবনে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী মঞ্চের। সেই মঞ্চ থেকেই ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় মঞ্চে ছিলেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

এদিকে ফ্লাইওভারের উদ্বোধন উপলক্ষে মৌচাক মোড়ে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী মঞ্চের। সেখানে সকাল থেকেই জড়ো হন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ২১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এরমধ্যে সরকার অর্থায়ন করেছে ৪৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে ৭৭৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ১৫ স্থানে উঠানামার ব্যবস্থা রয়েছে। এগুলো হলো তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, এফডিসি, মগবাজার, হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল, বাংলামটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইন এবং শান্তিনগর মোড়। এটি রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় বলে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে। প্রতিটি পিলার পাইলের গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার।

২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৯ কিলোমিটার লম্বা ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ফ্লাইওভারটির কাজ তিন ভাগে করা হয়েছে। গত বছরের ৩০ মার্চ সাতরাস্তা-মগবাজার-হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল অংশে যান চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ ফ্লাইওভারটি উদ্বোধনের ফলে দীর্ঘ ৬ বছরের অপেক্ষা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটলো।

ভিডিও কনফারেন্সে রাখা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই ঢাকা শহরে গাড়ি বেশি নামছে। এ জন্যই যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই যানজট নিরসনের জন্যই এই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলো।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয়। এর আগেও আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিলো তখনও দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছিলো।

শিগগিরই রাজধানীর যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ লক্ষ্যে নেয়া সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন তার বক্তব্যে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের আমলেই রাজধানীর যানজট নিরসনে সবচেয়ে বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। খুব শিগগিরই ঢাকার ইস্টার্ন বাইপাস নির্মাণ করা হবে।