দৈনিক দৃষ্টান্ত রিপোর্ট : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে আলোচনার জন্য আগামী ২০ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে মিয়ানমার যাচ্ছেন।
এ জন্য মিয়ানমারস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে আলোচনার এজেন্ডা ঠিক করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ সফর সর্বোচ্চ দুইদিন হবে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের (অক্টোবর) প্রথম সপ্তাহে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফর কর্মসূচি আগেই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নৃশংস নির্যাতনের কারণে গত ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের প্রেক্ষাপটে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
মিয়ানমার সফরের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে ২০ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যেই এ সফর হবে। মিয়ানমার সফরের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি আছে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২৫ আগস্টের পর নতুন করে যে ঘটনাগুলো সংযুক্ত হয়েছে সেগুলো নিয়ে আলাপ করব। মিয়ানমারে আমাদের রাষ্ট্রদূত দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এজেন্ডা ঠিক করবেন।
অপরদিকে রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সভাকক্ষে জাতীয় চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির ৫৯তম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ২৫ আগস্টের পর লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এটাই আমাদের মেইন এজেন্ডা হবে। আমরা এ বিষয়ে কথা বলব। যাতে মিয়ানমার শিগগিরই তাদের ফিরিয়ে নেয়। এছাড়া পূর্বনির্ধারিত যে এজেন্ডাগুলো ছিল সেগুলো নিয়েও আলাপ হবে। আমাদের রাষ্ট্রদূত সেগুলো নিয়েই কাজ করছেন।
মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল এসে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি আছে কীনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দফতরের মন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সোয়ে) বলে গেছেন, আমরা নেয়ার জন্য তৈরি হয়েছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব সময়ই যোগাযোগ রাখছেন। আমরা মনে করি কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের সবাইকে ফেরৎ পাঠাতে পারব।