দৈনিক দৃষ্টান্ত রিপোর্ট : প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল (এসএমডব্লিউ-৪) রক্ষণাবেক্ষণে আরো দু’দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।যার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের আরো দু’দিন ভোগান্তি পোহাতে হবে ।
কক্সবাজারের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের (এসএমডব্লিউ-৪) একটি রিপিটার পরিবর্তনের জন্য ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা থেকে বিচ্ছিন্ন আছে। এই সময়ে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এবং আমদানি নির্ভর ব্যান্ডউইডথের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে। তবে ২৪ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণের নির্ধারিত সময় থাকলেও তা বেড়েছে আরো দু’দিন।
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সেবা বন্ধ করে দেওয়ার প্রথম দিন খুব বেশি সমস্যায় পড়েননি ব্যবহারকারীরা। তবে দ্বিতীয় দিন অনেকেই সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের কক্সবাজারের কলাতলী ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে দ্বিতীয় রিপিটারটিতে ফল্ট দেখা দেওয়ায় সেটি পরিবর্তনের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ল্যান্ডিং স্টেশনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) তিনি বলেন, রিপিটার পরিবর্তনের মেইন কাজ চলছে। এটি আরো সময় লাগতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হবে।
তবে ইতোমধ্যে বিএসসিসিএলের গ্রাহকদের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দু’দিন সময় বাড়ানোর কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বালির নিচে রিপিটারটি পড়ে থাকায় সেটি তুলে আনতে বেগ পেতে হয়েছে।
এসএমডব্লিউ-৪ থেকে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হয়।
রক্ষণাবেক্ষণের সময় পুরো লাইন বন্ধ থাকায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিকল্প সেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলটি ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো দীর্ঘ সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন থাকছে।
২০০৫ সালে দেশে প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘এসএমডব্লিউ-৪’ এ যুক্ত হয়, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়। এছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন।