দৈনিক দৃষ্টান্ত ডেস্ক : সৌদি আরবের ইন্টেরিয়র মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, এনডিসি, পিএসসি, পিইঞ্জ সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ক ১ম আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম এ অংশগ্রহণ করেছেন।
সৌদি ইন্টেরিয়র মন্ত্রী প্রিন্স আব্দুল আজিজ বিন সৌদ বিন নেইফ বিন আব্দুল আব্দুল আজিজ আল-সৌদ এর তত্ত্বাবধানে এবং সৌদি বর্ডার গার্ডের আয়োজনে জেদ্দায় (১৫-১৯ অক্টোবর ২০১৭) এই আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তর জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা জানান, উক্ত সিম্পোজিয়ামে ১৭টি দেশের স্থল ও সমুদ্র সীমান্ত নিরাপত্তা বিষয়ে অভিজ্ঞ ও শীর্ষস্থানীয় ৪৫ জন বক্তা তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পাঁচ দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সিম্পোজিয়ামে পূর্বনির্ধারিত বিশেষ কয়েকটি আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে চতুর্থ দিন (১৮ অক্টোবর ২০১৭) “National, Regional and International Cooperation and its Effectiveness to Enhance Border Security and Safety-Past, Present and Future” বিষয়ের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে বিজিবি মহাপরিচালক তাঁর এ বিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
বিজিবি মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনার অতীত ও বর্তমান, সীমান্ত ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় পারস্পরিক সহযোগিতার সুফল এবং বাংলাদেশ সীমান্তের অধিকতর নিরাপত্তায় তাঁর অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন।
বিজিবি মহাপরিচালক সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিগণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে সম্প্রতি মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের প্রবেশের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গা সংকটকে ‘মানবিক বিপর্যয়’ আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই সংকট মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘‘মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও নিপীড়নের কারণেই অসহায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বের সামনে উদারতা ও মানবিকতার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম তাঁকে মাদার অব হিউম্যানিটি হিসেবে ভূষিত করেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায় তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দৃঢ়তার সাথে বলেছেন মায়ানমারকে অবশ্যই তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে হবে।”
সিম্পোজিয়ামে অন্যান্য দেশের বক্তাগণ স্থল ও সমূদ্র সীমান্ত এবং বন্দরসমূহের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁদের বক্তব্য ও মতামত উপস্থাপন করেন। বিভিন্ন দেশের সীমান্ত নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শীর্ষস্থানীয় অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সীমান্ত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে প্রথম বারের মতো এই সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা হয়েছে যা ভবিষ্যতেও ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।