২৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


অস্থিতিশীল চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসনের অভিযান

শহর প্রতিনিধি : অস্থির চালের বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ফেনীর সর্ববৃহৎ চালের আড়ত শহরের তাকিয়া রোড ও ইসলামপুর রোডে সোমবার দুপুরে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। অভিযানের নের্তৃত্ব দেন ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিম।

এ সময় তাকিয়া বাজার ইসলামপুর রোডের কমলাপট্রির মেসার্স হাজী মহি উদ্দিন চালের আড়তে গিয়ে দেখা যায় চাল নিয়ে চালবাজি। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা আড়তের ক্রয় রশিদ পরীক্ষা করে দেখেন মিনিকেট, পারিজা, কাটারি সেদ্ধসহ বিভিন্ন প্রকার চালে ক্রয়মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজিতে ৭/৮ টাকা দরে বেশি বিক্রি হচ্ছে চাল। উপরন্ত কম দামে কেনা পুরনো চালও গুদামজাত করে কৃত্রিম উপায়ে বাড়ানো হচ্ছে চালের দাম। প্রতিষ্ঠানটি সাময়িকভাবে বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। পরবর্তীতে ক্রয়মূল্যের চেয়ে সমিতির নির্ধারিত মুনাফা সর্বোচ্চ ২/৩ টাকা যোগ করে চাল বিক্রি করবেন এই শর্তে প্রতিষ্ঠানটি খুলে দেওয়া হয়।

এরপর মেসার্স হাজী ছালেহ আহম্মেদ আড়তেও দেখা যায় একই চিত্র। মালিকের ক্রয় রশিদ পরীক্ষান্তে দেখা যায় যে, তিনি এসি আই স্ট্যান্ডার্ড চাল একই দামে ক্রয় করলেও ১ মাসের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ৪ টাকা বেশি দামে চাল বিক্রি করছেন। এই প্রতিষ্ঠানটিও সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে অনুরূপ শর্তে সেটি খুলে দেওয়া হয়। আরও অভিযান পরিচালিত হয় মেসার্স জালাল আহম্মেদের আড়তে।

এ সময় চাল মালিক সমিতি এই মর্মে অংগীকার করেন যে, তারা অবৈধ মুনাফা আদায় করে চালের বাজার অস্থিতিশীল করবেন না।

এই অভিযানে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা ও এএসপি হেডকোয়ার্টার খালেদ মাহমুদ অংশ নেন।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পিকেএম এনামুল করিম বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের একটি দল সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে চালের মূল্য বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। ক্রেতারা পড়ছেন কষ্টে। সরকার এ ব্যাপারে কঠোর। জেলা প্রশাসন এ ধরণের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।