২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ


ইয়ুথ ইনফরমেশন সেন্টার ও লাইব্রেরি উদ্বোধন

ডেস্ক রিপোর্ট>>বই পড়ার সঙ্গে জ্ঞানের সম্পর্ক অপরিসীম। বই পড়া শুধুমাত্র অবসরের বিনোদনের মাধ্যম নয় বরং এখন আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের শক্তিশালী মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজ বই পড়ার প্রতি সময় ব্যয় করতে নারাজ।

গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ২ থেকে ৪ ঘণ্টা সোস্যাল মিডিয়াতে ব্যস্ত থাকে আর যেখানে ১-২ ঘণ্টা বই পড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে। এছাড়া ঢাকার ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী কোনো লাইব্রেরির সদস্য নন।

বইকে মানুষের কাছে ফের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের একদল তরুণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সবার মধ্যে বই পড়ার অভ্যাসকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে হোপ ৮৭ ও সোনে ইন্টারন্যাশনাল ও ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি সিমুড অডিটোরিয়ামে ইয়ুথ ইনফরমেশন সেন্টার ও লাইব্রেরির শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Press

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল সোসাইটি বিভাগের আব্দুস সবুর ও তানভির ইসলাম, স্মার্ট টেকনোলজির জেনারেল ম্যানেজার মুজাহিদ আল বিরুনী সুজন, ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায়িক অনুষদের অধ্যাপক শিবলী নোমান খান, আর কে গ্রুপের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম হাসমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অতিথিরা।

শুরুতে সানজিদা জামান লিজা, সাধারণ সম্পাদক ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। ইয়ুথ ইনফরমেশন সেন্টার ও লাইব্রেরির প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সবার সামনের লাইব্রেরির মূল চিন্তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো মোবাইল বই ডেলিভারি সার্ভিসের মাধ্যমে লাইব্রেরি সদস্য তার পছন্দ মতো বই ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত হতে সংগ্রহ করতে পারবে।

তার জন্য কোনো অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে না। এছাড়া আমরা ডিজিটাল লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেছি যেখানে লাইব্রেরি সদস্যরা অনলাইনে বই পড়তে পারবে।

Press

ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের সভাপতি বলেন, আমরা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি কিন্তু আমাদের পরিসর আরও বৃদ্ধি করতে চাই তার জন্য সমাজের সৃজনশীল মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। লাইব্রেরিতে আমরা তরুণদের নিজেদের পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বই ও আমাদের নিজেদের ইতিহাস সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে ভালোভাবে জানার জন্য ইতিহাস বিষয়ক বইকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। আমরা চাই বাংলা ইতিহাস সবার মধ্যে প্রসারিত হউক। তাই আমরা এ বছর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ইতিহাস অলিম্পিয়াড করতে যাচ্ছি।

আরিফিন রহমান হিমেল অতিথিদের নিয়ে ইয়ুথ ইনফরমেশন সেন্টার ও লাইব্রেরির শুভ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের এবং ইয়ুথ ইনফরমেশন সেন্টার ও লাইব্রেরির উন্নতি কামনা করেন।