২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


ডিসেম্বরে ফোর-জি মোবাইল সার্ভিস চালু : তারানা

দৈনিক দৃষ্টান্ত রিপোর্ট : নতুন মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য সুযোগ রেখে, নভেম্বর মাসে মোবাইল টেলিকম সার্ভিসের জন্য চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) স্পেকট্রামের নিলাম হতে যাচ্ছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সাধারণ মানুষের কাছে সেবাটি পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যেই পদক্ষেপটি গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম তার মন্ত্রণালয়ে এক এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘নভেম্বর মাসের শেষ নাগাদ নিলামের কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরঞ্জামাদি আমদানির পর প্রয়োজনীয় কারিগরী প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার মধ্যদিয়ে ডিসেম্বর মাস থেকেই জনগণের জন্য আমরা ফোর-জি/এলটিই সেবা চালু করতে পারব বলে আশা করছি।

আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যেই আমাদের আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করব।’ এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, সরকার স্পেকট্রাম ও লাইসেন্স নিলাম থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোরজি/এলটিই নীতিমালা ও স্পেকট্রাম নিলামের সম্মতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ২১০০ মেগা হার্টজ (এমএইচজেড), ১৮০০ এমএইচজেড ও ৯০০ এমএইচজেড এর জন্য নিলামের আয়োজন করবে। দেশের সকল অপারেটররা সেখানে অংশ নিতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপারেটররা ২জি, ৩জি ও ৪জি/এলটিই সেবা প্রদানের জন্য বিভিন্ন ব্যান্ডের এই স্পেকট্রাম ব্যবহার করতে পারবে। কারিগরীগত সুবিধার কারণে এমনটি করা সম্ভব। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করে সরকার লাইসেন্স ও স্পেকট্রামের জন্য যে ফি নির্ধারণে কিছু পরিবর্তন এনেছে।

নতুন এই পরিবর্তন অনুযায়ী, ১৮০০ ব্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রতি এমএইচজেড স্পেকট্রামের বেজ মূল্য ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ৯০০ ব্যান্ডের ক্ষেত্রে প্রতি এমএইচজেড স্পেকট্রামের বেজ মূল্য প্রস্তাবিত ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রতি এমএইচজেড স্পেকট্রামের রূপান্তর ফি প্রস্তাবিত ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ধার্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে, লাইসেন্স গ্রহণের জন্য ফি ১৫ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ১০ কোটি টাকা এবং বার্ষিক লাইসেন্স নবানয় ফি প্রস্তাবিত ৭ দশমিক ৫ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৫ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। রাজস্ব প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। তারানা হালিম বলেন, চূড়ান্ত নীতিমালা অনুযায়ী, অপারেটরদের অর্থ সংগ্রহের জন্য বিদেশী বিনিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, বিটিআরসি কমিশনার মো. জহুরুল হক, মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ ও এ. কে. এম. শহিদুজ্জামান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।