১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব

ক্যাম্পাস ডেস্ক» ১ জানুয়ারি পালিত হবে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব। এদিন প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে আলাদাভাবে এ উৎসব পালন করা হবে।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচন। এ কারণে ১ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পাঠ্যপুস্তক আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। গত ১৩ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবের উপস্থিতিতে জরুরি বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে পূর্বের ন্যায় ১ জানুয়ারিতে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

জাতীয় শিক্ষক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনটিসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা সোমবার জাগো নিউজকে বলেন, ১ জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেহেতু ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। এরপর আরও দুইদিন হাতে সময় রয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হবে।

নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ইতোমধ্যে সারাদেশে বিনামূল্যে শতভাগ পাঠ্যবই পৌঁছে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে জরুরি মুহূর্তের জন্য স্টক রাখা (বাফা) ও যেসব জেলায় বই সংকট দেখা দিয়েছে সেসব বই ছাপা কাজ চলছে। পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আগে পর্যায়ক্রমে এসব বই পাঠানো হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সরকারি বিদ্যালয়) নাজমুল হক বলেন, এবারও নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব জাতীয়ভাবে পালিত হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুইজন সচিব আলাদাভাবে দুই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে বই উৎসবের দিন সারাদেশে সব শিশু-কিশোরদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে। ঢাকার বাইরেও এই উৎসব পালিত হবে। কেন্দ্রীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসবে বিভিন্ন স্তুরের সেলিব্রেটিদের আমন্ত্রণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। তার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মোট বইয়ের সংখ্যা ৩৫ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৮৮২।