১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


৯০০ টাকার জন্য পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারিনি : শামীম ওসমান

ডেস্ক রিপোর্ট» নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, যারা মাদক ব্যবসা করেন এবং মাস্তানি করেন সময় থাকতে সঠিক পথে ফিরে আসেন। যে কোনো উপায়ে সন্ত্রাস ও মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে চাই। আমি কিন্তু বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছি। তারা মাঠে কাজ করছে।

বুধবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, দলের বুঝি না, দলের বাহিরে বুঝি না কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। সরকারের বন্দুকের গুলিতে মাদক ব্যবসায়ীদের মাথার খুলি থাকবে না। মাদক ব্যবসা ও মাস্তানদের প্রতিরোধে প্রতিটি পঞ্চায়েতের মুরব্বিদের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী পরিবারের ছেলে ছিলাম আমরা। আমার বাবা-মায়ের তিনটি সন্তান এমপি হয়েছি। আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নাই। এক সময় আমরা এক বেলা খাইয়া, দুইবেলা না খাইয়া লেখাপড়া করেছি। আমি ৯০০ টাকার জন্য পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে পারি নাই। তবুও আফসোস নাই। আমাদের বাবা আমাদের জন্য এক টাকা রাইখা যায় নাই। আর আল্লাহর হুকুমে আমার বাবা সৎ ছিল বলেই আমরা এক মায়ের তিন ছেলে এমপি হইছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই ঘটনা আর নাই।

শামীম ওসমান বলেন, মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে আসছি। আর আমার কাজ হলো জনগণের কাজ করা। জনগণের সমস্যার সমাধান করাই আমার মূল লক্ষ্য। আপনাদের সমস্যা সমাধানের জন্য একজন ভালো জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে হবে। আপনারা নারায়ণগঞ্জকে একটি ফুলের বাগান বানাতে চান নাকি জঙ্গল বানাবেন। ফুলের বাগান বানালে ফুলের সুভাস নিবেন এবং ফল খাবেন আর জঙ্গল বানাতে চাইলে সাপের কামড় খাবেন।

তিনি আরও বলেন, আমি রাস্তার থেকে উঠে আসি নাই। বাপ-দাদার পরিচয় দিয়ে উঠে আসি নাই। না খেয়ে রাজনীতি করছি। পকেটে মুড়ি নিয়া ছাত্র রাজনীতি করছি। মাইলের পর মাইল হাঁটছি। আর ১৭-১৮ বছর থেকে জেল খাটা শুরু করছি কিন্তু নিজের আদর্শ বিক্রি করি নাই, ডিগবাজি খাই নাই বার বার। আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজনীতি করি।

এ সময় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূইয়া সাজনু, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজ্জাক মাস্টার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, থানা কৃষক লীগের সভাপতি আবু হানিফ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী, ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এমএ মান্নান, মুসলিমনগর পঞ্চায়েত প্রধান ফজলুল হক, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।